সরবরাহ হ্রাস (Supply Reduction):
সরবরাহ হ্রাস কার্যক্রম:
বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়। প্রতিবেশী দেশসমূহ থেকে নানাভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদক কারবারীরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করছে। দেশে মাদকের সরবরাহ হ্রাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী করে থাকে-
- দেশে মাদকদ্রব্যের উৎপাদন, বিপণন, চোরাচালান ও অপব্যবহার সংক্রামত্ম গোপন সংবাদ সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রণয়ন।
- মাদকের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও তল্লাশি করা।
- মাদক কারবারীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ মালামাল আটক, মামলা রুজুকরণ, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা,
- সাক্ষ্য দান ও বিচারকার্যে সহায়তা।
- মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
- অভিযানিক কার্যক্রম মনিটরিং ও পরিদর্শন।
- মাদক ও মাদকজাতীয় উদ্ভিদ বিনষ্টকরণ (Crop eradication and destruction of drugs).
- INCB, UNODC, SAARC, BIMSTEC, DEA, COLOMBO PLAN, সহ সকলে আন্তর্জাতিক ,
- আঞ্চলিক ও বৈদেশিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, মাদক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ ও কাজের সমন্বয় সাধন।
- দেশের অভ্যন্তরে সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন।
- মাদক অপরাধ সংক্রান্ত ডাটাবেজ সংরক্ষণ।
এসব কাজ সম্পাদনের জন্য সারাদেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা, ২টি মেট্রো উপ-অঞ্চল ও ৮টি বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে মাদকদ্রব্য আসতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও কোস্ট গার্ড নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রেন, বাস, স্টিমার, লঞ্চ, ট্রাকে বা অন্য কোনো যানবাহন যাতে মাদক পরিবহণ হতে না পারে সেজন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।